বেলাল (রাঃ) আযান দেওয়ার সময় ‘শীন’-কে ‘সীন’ উচ্চারণ করায় কারু আপত্তির জবাবে রাসূল (ছাঃ) বলেন, إن سين بلال عند الله شين ‘বেলালের সীন উচ্চারণই আল্লাহর নিকটে শীন। এ ঘটনার সত্যতা জানতে চাই।

এটি মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত কথা মাত্র। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, ঘটনাটির কোন ভিত্তি নেই (আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৭/১০২)। ‘আজলূনীও তাই বলেছেন (কাশফুল খাফা ‘আম্মাশতাহারা মিনাল আহাদীছ ফী আলসিনাতিন নাস হা/১৫২০)। এছাড়া মোল্লা আলী ক্বারী, ‘আমেরী, মুহাম্মাদ তারাবলেসী, আলী হারাবী, সাখাবী সহ বহু মুহাদ্দিছ তাদের মওযূ‘আত তথা জাল হাদীছের সংকলন গ্রন্থসমূহে বর্ণনাটি সংকলন করেছেন।

Posted in আযান বেলাল (রাঃ) দেওয়ার সময় ‘শীন’-কে ‘সীন’ বলতেন কি?, বেলাল (রাঃ) আযান দেওয়ার সময় ‘শীন’-কে ‘সীন’ বলতেন কি? | Leave a comment

সরকারী চাকুরীতে বাধ্যতামূলক ভাবে জিপি ফান্ডে বেতনের একটি অংশ জমা করতে হয় এবং প্রতিবছর সরকার জমাকৃত টাকার সাথে ১২.৫% হারে জমা করে। এক্ষণে সরকার প্রদত্ত অংশটি কি সূদ হিসাবে গণ্য হবে?

জিপি ফান্ডে জমাকৃত টাকার অতিরিক্ত অংশটি সূদ হিসাবে গণ্য হবে। কেননা সরকার বাৎসরিক জমাকৃত টাকার উপরে চক্রবৃদ্ধিহারে সূদ হিসাবে প্রদান করে থাকে।  অতএব সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারিত বেতনের যে অংশ প্রতি মাসে কেটে নেওয়া হয়, চাকুরী শেষে সেটুকু ব্যতীত অতিরিক্ত গ্রহণ করা জায়েয হবে না। তবে অতিরিক্ত এ অংশটি আলাদা করে নেকীর আশা ব্যতীত সমাজকল্যাণে ব্যয় করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘হারাম রূযী দ্বারা পরিপুষ্ট দেহ কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (বায়হাক্বী, মিশকাত হা/২৭৮৭; ছহীহাহ হা/২৬০৯)

Posted in সরকার প্রদত্ত অংশটি কি সূদ হিসাবে গণ্য হবে?, সূদ সরকার দিলে নেওয়া যাবে কি? | Leave a comment

মসজিদে জুম‘আর ছালাতের আগে বা পরে মুছল্লীদের জানার স্বার্থে ইমামের নেতৃত্বে প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?

ছালাতের পূর্বে এরূপ আয়োজন করা যাবে না। কেননা রাসূল (ছাঃ) জুম‘আর দিন ছালাতের পূর্বে মসজিদে খুৎবা ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে একত্রিত হ’তে নিষেধ করেছেন (আবুদাঊদ হা/১০৭৯, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৮৮৫, সনদ হাসান)। তবে ছালাতের পরে কোন বাধা নেই।

Posted in জুম‘আর ছালাতের আগে বা পরে প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা যাবে কি? | Leave a comment

আমরা জানি যে, আল্লাহ তা‘আলা ১৮ হাযার মাখলূকাত সৃষ্টি করেছেন। একথার কোন দলীল আছে কি?

মাখলূক্বাতের কোন পরিসংখ্যান কুরআন ও হাদীছে নেই। তবে সালাফে ছালেহীন এ ব্যাপারে বিভিন্ন মত পেশ করেছেন। যেমন মুক্বাতিল বলেন, মাখলূক্বাতের সংখ্যা ৮০ হাযার। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর মতে ৪০ হাযার, ওয়াহাব বিন মুনাবিবহ (রহঃ)-এর মতে ১৮ হাযার প্রভৃতি। কা‘ব আল-আহবারের মতে, আল্লাহর সৃষ্টির কোন নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই (ইবনু কাছীর ১/২৬, তাফসীর সূরা ফাতেহা ‘রববুল আলামীন’-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। মূলতঃ উক্ত বর্ণনাগুলি থেকে অধিক সংখ্যক মাখলূক্বাতের কথাই বুঝানো হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ রববুল আলামীন যে নে‘মত দান করেছেন তা তোমরা গণনা করে শেষ করতে পারবে না’ (নাহল ১৬/১৮)। অতএব মাখলূক্বাতের সংখ্যা আল্লাহ সর্বাধিক অবগত।

Posted in মাখলূকাত আল্লাহ তা‘আলা ১৮ হাযার সৃষ্টি করেছেন কি? | Leave a comment

জনৈক বক্তা বলেন, এক বালতি গরুর পেশাবে চাদর ভিজিয়ে তা গায়ে দিয়ে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে। একথার কোন সত্যতা আছে কি?

এভাবে বলা ঠিক হয়নি। তবে যেসব প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল, সেসব প্রাণীর পেশাব-পায়খানা পবিত্র। সেটা কাপড়ে লাগলে উক্ত কাপড়ে ছালাত আদায় করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) নিজে ছাগল বাঁধার স্থানে ছালাত আদায় করেছেন এবং অন্যদের অনুমতি দিয়েছেন (বুখারী হা/২৩৪, মুসলিম হা/৩৬০, ৫২৪)। এছাড়া তিনি উটের পেশাব পানের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন (তিরমিযী হা/১৮৪৫)। অন্যদিকে হারাম বস্ত্ত দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করতে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন (ছহীহুল জামে‘ হা/১৭৬২; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৬৩৩)। অর্থাৎ উটের পেশাব হালাল হওয়ার কারণেই রাসূল (ছাঃ) তা পান করার অনুমিত দিয়েছেন। প্রশ্নে বর্ণিত বক্তব্য দ্বারা উদাহরণ পেশ করা হয়েছে মাত্র। এর অর্থ এটা নয় যে, গরু-ছাগলের পেশাবে কাপড় ডুবিয়ে তা গায়ে দিতে হবে। কেননা এটা রুচি বিরোধী। আল্লাহ বলেন, তোমরা ছালাতের সময় সুন্দর পোষাক পরিধান কর’ (আ‘রাফ ৭/৩১)

Posted in গরুর পেশাবে চাদর ভিজিয়ে গায়ে দিয়ে ছালাত আদায় করলে ছালাত হবে কি?, পেশাব ভরলে ছালাত হবে কি? | Leave a comment

আমার স্বামী স্বেচ্ছায় আমার নামে কিছু জমি লিখে দিয়েছিল। এখন তার নিজ নামে নির্মিতব্য একটি বাড়ির নির্মাণ ব্যয় নির্বাহের জন্য উক্ত জমিটি আমার নিকট থেকে ফেরত নিয়ে বিক্রি করতে চাচ্ছে। এভাবে ফেরত নেওয়া কি তার জন্য ঠিক হবে? আর আমি যদি না দেই সেক্ষেত্রে আমি গোনাহগার হব কি?

স্বামীর জন্য জোর করে জমি ফেরত নেওয়া যাবে না এবং ফেরত না দিলে স্ত্রী গোনাহগার হবে না। কারণ এটা স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর জন্য হাদিয়া স্বরূপ। আর হাদিয়া ফেরত নেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়।রাসূল (ছাঃ) বলেন, পিতা তার সন্তানকে প্রদত্ত দান ফেরত নিতে পারেন। কিন্তু অন্যান্যদের ক্ষেত্রে দান করে ফেরত নেওয়া বমি করে বমি খাওয়ার ন্যায় (আবুদাঊদ হা/৩৫৩৯; মিশকাত হা/৩০২১)। তবে পরিবারের কল্যাণার্থে যদি স্বামী এরূপ উদ্যোগ নিয়ে থাকেন এবং স্বামীর জন্য এ ব্যতীত অন্য কোন উপায় না থাকে, তাহ’লে স্ত্রীর জন্য স্বেচ্ছায় তা বিক্রয়ের জন্য প্রদান করায় কোন দোষ নেই।

Posted in দান করা জমি স্ত্রী হতে স্বামী ফেরত নিতে পারে কি? | Leave a comment

নির্দিষ্ট বছরে হজ্জের নিয়ত করার পর কোন কারণবশতঃ সে বছর তা আদায় করতে না পারলে গোনাহ হবে কি? বা এর জন্য কোন কাফফারা দিতে হবে কি?

শারঈ ওযরবশতঃ বিলম্ব করলে গোনাহ হবে না এবং এর জন্য কোন কাফফারাও দিতে হবে না। তবে যাদের উপর হজ্জ ফরয হয়েছে, তাদের বিলম্ব করা মোটেই ঠিক নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজ্জের সংকল্প করে, সে যেন তা দ্রুত সম্পন্ন করে’ (আবুদাঊদ হা/১৭৩২, মিশকাত হা/২৫২৩ ‘মানাসিক’ অধ্যায়)

Posted in হজ্জের নিয়ত করার পর সে বছর তা আদায় করতে না পারলে গোনাহ হবে কি? | Leave a comment

ঈদের ছালাতে ছানা পড়তে হবে কি? যদি পড়তে হয় তবে অতিরিক্ত তাকবীরগুলো ছানা পাঠের আগে না পরে দিতে হবে?

ছানা পড়তে হবে এবং তা তাকবীরে তাহরীমার পর ও অতিরিক্ত তাকবীরের পূর্বে পাঠ করবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন কোন ছালাত আরম্ভ করতেন, তখন তাকবীরে তাহরীমার পর দো‘আয়ে ইস্তিফতাহ বা ছানা পড়তেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৮১৩, ‘তাকবীরে তাহরীমার পরে পাঠ্য’ অনুচ্ছেদ)। ঈদের ছালাতেও অনুরূপভাবে প্রথম তাকবীরের পর ছানা পাঠ করতে হবে (ইবনু কুদামা, মুগনী, মাসআলা নং ১৪১৬; নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/২০; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৬/২৪০)

Posted in ঈদের ছালাতে ছানা পড়তে হবে কি? | Leave a comment

পিতার অবর্তমানে বড় ভাই পিতার সমতুল্য। এ মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়েছে কি?

এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৩৭০)। তবে বড় ভাই অবশ্যই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের মর্যাদা বুঝে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (আবুদাঊদ হা/৪৯৩৯, তিরমিযী হা/১৯২০)

Posted in পিতার অবর্তমানে বড় ভাই পিতার সমতুল্য কি? | Leave a comment

মহিলাদের ব্যাপারে হজ্জের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হ’ল মাহরাম থাকা। এক্ষণে কোন মহিলা তার ছোট বোন ও ছোট বোনের স্বামীর সাথে হজ্জ পালন করতে পারবে কি?

সফরের জন্য মহিলাদের সাথে মাহরাম পুরুষ থাকা শর্ত (বুখারী হা/১৮৬২)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) বলেন, মাহরাম ব্যতীত কোন নারী হজ্জ করবে না (বাযযার, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩০৬৫)। বোনের স্বামী মাহরাম নয়। অতএব বোন থাকা সত্ত্বেও বোনের স্বামীর তত্ত্বাবধানে হজ্জে গমন করা যাবে না (মাজমূ‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ২১/১৯০)

Posted in হজ্জে মহিলাদের মাহরাম না থাকলে করণীয় কি? | Leave a comment