ইয়াজূজ-মাজূজ কারা? এদের উৎপত্তি কোথায়? কিয়ামতের কতদিন পূর্বে এরা বের হবে এবং কি কি করবে? কিভাবে এরা ধ্বংস হবে?

ইয়াজূজ-মাজূজ পৃথক কোন সম্প্রদায় নয়, বরং তারা আদম (আঃ)-এর বংশধর (বুখারী হা/৪৭৪১ মুসলিম হা/২২২)। মানুষের ঈমান পরীক্ষা করার জন্য এদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা পৃথিবীতে কখন ও কিভাবে আগমন করেছে, এ বিষয়ে বিদ্বানদের মাঝে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তবে তারা অবশ্যই আদম সন্তান ছিল এবং হযরত নূহ (আঃ)-এর পরে পৃথিবীতে তাদের আগমন­ ঘটেছিল (ফাৎহুল বারী ১৩/১৩১ পৃঃ; ‘ইয়াজূজ মাজূজঅধ্যায়)। বর্তমানে যুলক্বারনাইন নির্মিত প্রাচীর দ্বারা তারা আবেষ্টিত রয়েছে (কাহফ ১৮/৯৪-৯৮)

এ দু’জাতির বেরিয়ে আসাটা ক্বিয়ামতের দশটি বড় আলামতের একটি (মুসলিম হা/২৮৮০; তিরমিযী হা/২১৮৩; আবুদাউদ হা/৪৩১১)। ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে তাদের বংশধররা আল্লাহর হুকুমে প্রাচীর ভেঙ্গে বেরিয়ে আসবে। তারা সামনে যা পাবে সব খেয়ে ফেলবে। তাদের সাথে কেউ লড়াই করতে সাহস পাবে না। তারা বহু লোককে হত্যা করবে। সমুদ্রের পানি পান করে শেষ করবে। এক সময় বায়তুল মুক্বাদ্দাসের এক পাহাড়ে উঠে তারা হুংকার দিয়ে বলবে, দুনিয়াতে যারা ছিল সব শেষ করেছি, এখন আসমানে যারা আছে তাদের শেষ করব। এই বলে তারা আকাশে তীর ছুঁড়তে থাকবে। আল্লাহ তাদের তীরে রক্ত মাখিয়ে ফেরত পাঠাবেন। এক সময় ঈসা (আঃ) তাদের জন্য বদদো‘আ করবেন। তাতে তারা সবাই একযোগে মারা পড়বে ও লাশ সমূহ পচে দুর্গন্ধ হবে। আল্লাহ তখন শকুন পাঠাবেন। তারা লাশগুলিকে ‘নাহবাল’ নামক স্থানে নিক্ষেপ করবে। মুসলমানেরা তাদের তীর-ধনুকগুলি সাত বছর ধরে জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭৫)

This entry was posted in ইয়াজূজ-মাজূজ কারা? এদের উৎপত্তি কোথায়?. Bookmark the permalink.